অর্থ বুঝে বাক্য লিখি - ৬ষ্ঠ শ্রেণির বাংলা ৩য় অধ্যায় সমাধান পর্ব - ২

0

অর্থ বুঝে বাক্য লিখি - ৬ষ্ঠ শ্রেণির বাংলা ৩য় অধ্যায় সমাধান পর্ব - ২ | Class 6 Bangla Chapter 3 Solution Part- 2 (PDF) 2023

অর্থ বুঝে বাক্য লিখি - ৬ষ্ঠ শ্রেণির বাংলা ৩য় অধ্যায় সমাধান পর্ব - ২ | Class 6 Bangla Chapter 3 Solution Part- 2 (PDF) 2023

(toc)

মাধ্যমিক/দাখিল ৬ষ্ঠ শ্রেণির বাংলা ৩য় অধ্যায় (অর্থ বুঝে বাক্য লিখি) ছকসহ সমাধান (১ম পরিচ্ছেদ পর্ব - ২)

৬ষ্ঠ শ্রেণি/Class 6 বাংলা ৩য় অধ্যায় সমাধান New Curriculum Textbooks Bangla Chapter 3 (Part -2) Guide 2023 মাধ্যমিক/দাখিল স্তর উভয়ের জন্য।

তৃতীয় অধ্যায়: অর্থ বুঝে বাক্য লিখি
১ম পরিচ্ছেদ: শব্দের শ্রেণি


এই অধ্যায়ের মধ্যে কিছু ব্যাকরণের প্রশ্ন ও রয়েছে। আমরা আগে সে গুলো নিচে আলোচনা করি।

নমুনা ৫ পড়ার আগে আমরা ক্রিয়াবিশেষণ সম্পর্কে জেনে ধারণা নিবো।

ক্রিয়াবিশেষণ কাকে বলে? কত প্রকার ও কি কি?

উত্তরঃ যে শব্দ ক্রিয়াকে বিশেষিত করে, তাকে ক্রিয়া বিশেষণ বলে অথবা যে শব্দ দিয়ে ক্রিয়ার গতি, সময় ইত্যাদি বোঝায়, সেগুলোকে ক্রিয়াবিশেষণ বলে। যেমন: ছেলেটি তাড়াতাড়ি হাঁটে। লোকটি সামনে এগিয়ে গেল। মেয়েরা এখান থেকে যাবে না। এখানে দাগ দেওয়া শব্দগুলো ক্রিয়াবিশেষণ।

ক্রিয়া বিশেষণকে কয়েক ভাগে ভাগ করা যায়। যথাঃ

১. ধরনবাচক ক্রিয়াবিশেষণ: কোনা ক্রিয়া কীভাবে সম্পন্ন হয়, ধরনবাচক ক্রিয়াবিশেষণ তা নির্দেশ করে। যেমন – টিপ টিপ বৃষ্টি পড়ছে। ঠিকভাবে চললে কেউ কিছু বলবে না।

২. কালবাচক ক্রিয়াবিশেষণ: এই ধরনের ক্রিয়াবিশেষণ ক্রিয়া সম্পাদনের কাল নির্দেশ করে। যেমন: আজকাল ফলের চেয়ে ফুলের দাম বেশি। যথাসময়ে সে হাজির হয়।

৩. স্থানবাচক ক্রিয়াবিশেষণ: ক্রিয়ার স্থান নির্দেশ করে স্থানবাচক ক্রিয়াবিশেষণ। যেমন: মিছিলটি সামনে এগিয়ে যায়। তাকে কোথাও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।

৪. নেতিবাচক ক্রিয়াবিশেষণ: না, নি ইত্যাদি দিয়ে ক্রিয়ার নেতিবাচক অবস্থা বোঝায়। এগুলো সাধারণত ক্রিয়ার পরে বসে। যেমন: সে এখন যাবে না। তিনি বেড়াতে যাননি। এমন কথা আমার জানা নেই।

৫. পদাণু ক্রিয়াবিশেষণ: বাক্যের মধ্যে বিশেষ কোনো ভূমিকা পালন না করলেও ‘কি’, ‘যে’, বা’,না’, ‘তো’ প্রভৃতি পদাণু ক্রিয়াবিশেষণ হিসেবে কাজ করে। যেমন:
কি: আমি কি যাব?
যে : খুব যে বলেছিলেন আসিবেন!
বা: কখনো বা দেখা হবে।
না: একটু ঘুরে আসুন না, ভালো লাগবে।
তো: মরি তো মরব।

গঠন বিবেচেনায় ক্রিয়াবিশেষণকে একপদী ও বহুপদী – এই দুই ভাগে ভাগ করা যায়।
একপদী ক্রিয়াবিশেষণ: আপ্তে, জোরে, চেঁচিয়ে, সহজে, ভালোভাবে ইত্যাদি।
বহুপদী ক্রিয়াবিশেষণ ভয়ে ভয়ে, চুপি চুপি ইত্যাদি।

নমুনা ৫

তুমি জোরে দৌড়াও, আমি ধীরে হাঁটি।
তুমি সামনে যাও, আমি পিছনে থাকি।
তুমি থামবে না, আমিও দাঁড়াব না
তুমি ঠিকঠাক যাও, আমি চুপচাপ দেখি।
তোমাকে কানে কানে বলি, আমি ভয়ে ভয়ে আছি।

কিছু শব্দ দিয়ে ক্রিয়ার গতি, সময় ইত্যাদি বোঝায়। উপরের অনুচ্ছেদ থেকে এ ধরনের শব্দ খুঁজে বের করো এবং নিচের খালি জায়গায় লেখো।

৩০ নং পৃষ্ঠার উত্তরঃ

  1. জোরে
  2. ধীরে
  3. সামনে
  4. পিছনে
  5. না
  6. না
  7. ঠিকঠাক
  8. চুপচাপ
  9. কানে-কানে
  10. ভয়ে ভয়ে
লেখা শেষ হলে তোমার বন্ধুদের সাথে মিলিয়ে নাও। তাদের সাথে উত্তরের পার্থক্য হলে তা নিয়ে আলোচনা করো।


পাঠ থেকে ক্রিয়াবিশেষণ খুঁজি।
‘চিঠি বিলি’ছড়া ও ‘সুখী মানুষ’নাটক থেকে ক্রিয়াবিশেষণ শব্দ খুঁজে বের করে তার একটি তালিকা তৈরি করো।

৩১ নং পৃষ্ঠার উত্তরঃ-

‘চিঠি বিলি’ থেকে পাওয়া:- টাপুস-টুপুস, আজ, এবার।
‘সুখী মানুষ’ থেকে পাওয়া:- ছটফট, ভালো, হাউমাউ, উজাড়, আস্তে, মনোযোগ, জোর, মনের সুখে, গাইতে গাইতে৷।

অনুচ্ছেদ লিখে বিশেষ্য খুঁজি
কোনো একটি বিষয় নিয়ে ১০০ শব্দের মধ্যে একটি অনুচ্ছেদ লেখো। লেখা হয়ে গেলে ক্রিয়াবিশেষণ শব্দগুলোর নিচে দাগ দাও।

৩১ নং পৃষ্ঠার উত্তরঃ-

উত্তর:
বাংলাদেশের একেবারে দক্ষিণের জেলা কক্সবাজার। পর্যটকদের আকর্ষণের জন্য এখানে রয়েছে পৃথিবীর দীর্ঘতম সমুদ্র-সৈকত। প্রতিদিন অসংখ্য দেশি-বিদেশি পর্যটক এই সৈকতে বেড়াতে আসেন। আর এর সৌন্দর্যে মুগ্দ্ধ হয়ে বলেন, “বাহ! কী সুন্দর। কক্সবাজার সমুদ্র-সৈকতের সবচেয়ে আকর্ষণীয় দিক এর ঢেউ সবসময় বড়ো বড়ো ঢেউ তৈরি হয় সাগরে।

আর সেই ঢেউ তীরে এসে জোরে জোরে আছড়ে পড়ে। অনেক মানুষ গা ভেজাতে সৈকতে নামে। তাদের কেউ কেউ ঢেউ দেখে আনন্দের লাফ দেয়। অনেকেই ভেজা বালি দিয়ে ঘর বানায় ঢেউ এসে সেই ঘর ভেঙ্গে দেয়। তবু তারা হাসিমুখে আবার ঘর বানাতে থাকে।


৩য় অধ্যায়ের ১ম পরিচ্ছেদ এর সম্পূর্ণ উত্তর নিচের পিডিএফ থেকে দেখে নেন।




Post a Comment

0Comments
Post a Comment (0)

#buttons=(Accept !) #days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Learn More
Accept !